Description

Tenex, রবিন টেনেক্স মস্তিষ্কের স্নায়ুমন্ডলীর উপর বিশেষভাবে কার্যকরী বাছাই করা ভেষজ উদ্ভিজ দ্বারা তৈরি বহুল ব্যবহৃত নিরাপদ একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ। শাররীক দুর্বলতা, অকাল বার্ধক্য, খিচুনি,মূর্চ্ছা যাওয়া, মানসিক চাপ,স্মৃতিশক্তি হ্রাস, অনিদ্রা ও অপুষ্টিতা রোগ নিরাময়ে রবিন টেনেক্স কার্যকরী ও ফলপ্রদ ঔষধ। একাধিক পুষ্টি উপাদান সম্বলিত টেনেক্স অপুষ্টি ও শাররীক দুর্বলতা দূর করে। অশ্বগন্ধা, মূষলী, মঞ্জিষ্ঠা অনিদ্রা, অকাল বার্ধ্যক্য রোধক ও সতেজকারক। রবিন টেনেক্স সর্ম্পকে বিস্তারিত নিচে বর্ননা করা হয়েছে।

রবিন টেনেক্স তৈরির উপাদান

প্রতি ৫ মিঃলিঃ সিরাপে রয়েছেঃ

• অশ্বগন্ধাঃ ০.৩৭ গ্রাম
• মূষলীঃ ০.১৫ গ্রাম
• মঞ্জিষ্ঠাঃ ৭৪.৯৪ মিঃগ্রাঃ
• হরীতকীঃ ৭৪.৯৪ মিঃগ্রাঃ
• হরিদ্রাঃ ৭৪.৯৪ মিঃগ্রাঃ
• দারুহরিদ্রাঃ ৭৪.৯৪ মিঃগ্রাঃ
• যষ্ঠিমধুঃ ৭৪.৯৪ মিঃগ্রাঃ

এবং অন্যান্য উপাদান পরিমানমত
সূত্রঃ বাংলাদেশ জাতীয় আয়ুর্বেদিক ফর্মুলা অনুযায়ী তৈরী।

নিচে সকল উপাদানের ঔষধি গুন সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা করা হলঃ

অশ্বগন্ধাঃ মানুষের শরীরের রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রনে অশ্বগন্ধা বেশ কার্যকর। অশ্বগন্ধা দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৎপিণ্ডকে রোগ থেকে রক্ষা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ, ডায়বেটিস সমস্যায়, যৌনক্ষমতা বাড়াতে, থাইরয়েড সমস্যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রনে অশ্বগন্ধা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মূষলীঃ কামলা রোগ, শুক্রক্ষয় ও অর্শরোগ ভালো করে।

মঞ্জিষ্ঠাঃ শোথ, রক্তজ অতিসারে, প্রমেহ, বিসর্পে, মাথা ধরায়, রক্তমূত্রতায়, নৈমিত্তিক শোথে, পূজকর্নে মঞ্জিষ্ঠা ব্যাবহৃত হয়।

হরীতকীঃ হরীতকীর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, আয়রন, সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপারের মতো খনিজ। হরীতকীর পাউডার বা গুঁড়ো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, এর ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়।হজম ক্ষমতা বাড়াতে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, সর্দি-কাশিতে, হার্টের যত্নে, হরীতকী ব্যবহৃত হয়।

হরিদ্রাঃ হরিদ্রা ওজন কমাতে সাহায্য করে, আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা হ্রাস করে, মস্তিষ্কের ক্ষয় জনিত সমস্যা রোধ করে, যকৃৎ সুরক্ষিত করে, শ্বাসক্রিয়াকে শক্তিশালী করে।

দারুহিরিদ্রাঃ দারুহরিদ্রা আয়ুর্বেদীক ওষুধ হিসাবে রোগ নিরাময়ে কাজ করে । লিভার জনিত রোগে ও জন্ডিস নিরাময়ে কাজ করে। এটি রক্ত পরিষ্কার, ঘাম নিঃসারক, প্লিহা বেড়ে যাওয়া, শ্বেত প্রদর, রক্তপ্রদর সমস্যা সমাধান করে।

যষ্ঠিমধুঃ ‍যষ্ঠিমধুকে সাধারনভাবে মুলেঠি বা লিকোরিস বলা হয়, ওষধি গুন থাকার জন্য বহুকাল ধরে আয়ুর্বেদ এ ব্যাবহার করা হচ্ছে। যষ্ঠিমধু হাইপার অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রাইটিস, আলসার, কাশি ও গলাব্যাথা, একজিমা রোধ করে। পাকস্থলীর এপিথেলিয়াল কোষসমূহ শক্তিশালী করে গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেপটিক আলসার নিরাময় করে।

কার্যকারীতাঃ

শাররীক দুর্বলতা, অকাল বার্ধক্য, খিচুনি,মূর্চ্ছা যাওয়া, মানসিক চাপ,স্মৃতিশক্তি হ্রাস, অনিদ্রা ও অপুষ্টিতা রোগে কার্যকর।

সেবন বিধিঃ

১৫-২০ মি.লি বা ৩-৪ চা চামচ দিনে ২/৩ বার। অথবা রেজিঃ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য

সতর্কতাঃ

আলো থেকে দূরে-ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে এবং শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। ব্যবহারের পূর্বে বোতল ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিন।

প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানঃ

রবিন ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) লিঃ
আশুলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ।