Description
Livex, রবিন লিভেক্স রবিন লিভেক্স লিভারের চিকিৎসা ও সুরক্ষার জন্য কার্যকরী একটি নিরাপদ ভেষজ ঔষধ। এটি রোহিতক, ধাইফুল, চিতা, মুথা ইত্যাদি ভেষজ উপাদানের নির্যাস দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। রবিন লিভেক্স হেপাটাইটিস, জন্ডিস, সিরোসিস, উদর রোগ নিরাময়ে কার্যকরী। এছাড়া ও প্লীহা, যকৃৎ, অষ্ঠিলা, গ্রহণী, কামলা ও অরুচি প্রশমক। রবিন লিভেক্স সর্ম্পকে বিস্তারিত নিচে বর্ননা করা হয়েছে।
রবিন লিভেক্স তৈরির উপাদান
প্রতি ৫ মিঃলিঃ সিরাপে রয়েছেঃ
- রোহিতকঃ ১.৫২ গ্রাম
- ধাইফুলঃ ০.২৪ গ্রাম
- পিপ্পলীঃ ১৫.২৪ মিঃগ্রাঃ
- শুন্ঠিঃ ১৫.২৪ মিঃগ্রাঃ
- চিতাঃ ১৫.২৪ মিঃগ্রাঃ
- মুথাঃ ১৫.২৪ মিঃগ্রাঃ
- বিড়ঙ্গঃ ১৫.২৪ মিঃগ্রাঃ
এবং অন্যান্য উপাদান পরিমানমত
সূত্রঃ বাংলাদেশ জাতীয় আয়ুর্বেদিক ফর্মুলা অনুযায়ী তৈরী।
নিচে সকল উপাদানের ঔষধি গুন সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা করা হলঃ
রোহিতকঃ লিভার সিরোসিস, প্লীহা পরিবর্ধন, কন্ঠনালীপ্রদাহ ব্যথা, হৃদস্পন্দন, উপদংশ, প্রসাবে রোগ, প্রমেহ, ধবল, যকৃতের রোগ সারাতে খুবই কার্যকরি রোহিতক।
ধাইফুলঃ ধাইফুল রক্তদুষ্টি ও পিত্তজনিত রোগে উপকারি এবং শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর ও শুক্রতারল্য নাশক। আমাশয়, রক্ত আমাশয়, অতিসার নাশক এবং যকৃতদোষে উপকারি।
পিপ্পলীঃ শ্বাস কাস, ফুসফুসজনিত রোগ, হাঁপানি শ্বাস। বুকে জমানো কফ, খুসখুসে কাশি, ধুমপান জনিত কাঁশি, ঠান্ডা, এলার্জি জনিত সমস্যা, শ্বাস যন্ত্রে সংক্রমন প্রশমক।
শুন্ঠীঃ শুন্ঠীর মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে। এটি বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন থেকে আমাদের বাঁচায়। আমাশয়, পেটফাঁপা, পেটব্যাথা, হাঁপানি ও ফুসফুস সংক্রমন, হৃদরোগ, পাকস্থলী ও লিভারের শক্তিবর্ধক হিসাবে এটি মানবদেহে কাজ করে।
চিতাঃ চিতা পাতা ও মূলের ভেষজ গুন অনেক। অর্শরোগ, কুষ্ঠরোগ, আমাশয়, গ্যাস্টিক ও পেপটিক আলসার উপশমে চিতা খুবই কার্যকরি।
মুথাঃ অজির্ণ বা পেট ফাঁপা, আমাশয়, হজমে সমস্যায়, জ্বরের পিপাসায় ও এপিলেপসিতে মুথা ব্যবহৃত হয়।
বিড়ঙ্গঃ বিড়ঙ্গ সাধারনত এর অ্যানথেলমিন্টিক বৈশিষ্ট্যের কারনে পেট থেকে কৃমি এবং পরজীবী বের করতে ব্যবহৃত হয়। এটি বদহজমের জন্য উপকারী এবং এর রেচক বৈশিষ্ট্যের কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
কার্যকারীতাঃ
জন্ডিস (কামলা), হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, প্লীহা, যকৃত, উদর, গ্রহণী, শোথ ও অরুচি প্রশমক।
সেবন বিধিঃ
প্রাপ্তবয়ষ্কঃ ১৫-২০ মিঃলিঃ সিরাপ ২/৩ বার আহারের পর অপ্রাপ্তবয়ষ্কঃ ৫-১০ মিঃলিঃ সিরাপ ২/৩ বার আহারের পর অথবা রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে সিরাপ সেব্য।
সতর্কতাঃ
আলো থেকে দূরে-ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে এবং শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন। ব্যবহারের পূর্বে বোতল ঝাঁকিয়ে নিন।
প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানঃ
রবিন ল্যাবরেটরিজ (আয়ু) লিঃ
আশুলিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ।